ডায়েরীর পাতা থেকে:
অনতীত জন্মপুরাণ
জন্মের পেছনে আমার কোন হাত নেই, এমনকি আমার বাবা মাও জানতেন না আমি পৃথিবীতে আসছি, এখনো অনেকেই আমার জন্মদিনটা ভালোবাসাদিবসে হওয়ায় (যদিও এদেশে ভালবাসা দিবস আমদানী হয় ১৯৯৩খ্রি: বিশিষ্ট লেখক শফিক রেহমানের হাত ধরে) অবিশ্বাস্যকর মনে করে কেন জানি বুঝিনা। আমার বড় দু-ভাইবোন থাকায় বাবা-মা আমাকে পছন্দ করে বেছে নেন নি, আমি হয়ে গেছি। সবাই বোধ হয় এভাবে জন্মায় না। আমার জন্মটাও তাই অনেকটা অপাঙত্ত্বেয় ভাবেই হয়েছে। বাবার কাছ থেকে শুনেছি, কোন এক দিন বাবা-মা জানতে পারেন আমি আসছি, তখনই একছেলে একমেয়ে নীতিতে বিশ্বাস রাখেন এবং আমার আসা নিয়ে তাঁরা অপ্রতিগ্রহ। সিদ্ধান্ত স্থির হল, আমাকে ভ্রুনাবস্থায় হত্য করা হবে । যথারীতি বাবা মহৌষধ নিয়ে হাজির। বাবা নিজে ইনজেক্ট করতে পারতেন কিন্তু নিজের স্ত্রী বলে তা সাহস না করে বড়ব্বার (বাবার বড় ভাই) দ্বারস্থ হলেন। বড়ব্বা পেশায় স্কুলশিক্ষক এবং গ্রাম্য ডাক্টার ছিলেন, তিনি ঐ ইনজেকশন দেখেই বাবা উপর ভীষণ ক্ষিপ্ত হয়ে সেটি মেঝেতে ছুঁড়ে ফেলে দেন এবং আমার এই গ্রহে আসার পথটা এক্কেবারেই নিশ্চিত করে দেন। বাবা আজ বেঁচে নেই মা আছেন, বড়ব্বাও আছেন। শুধু আক্ষেপটা বড়ব্বার প্রতি তিনি ইনজেকশনটি না ছুঁড়লেই পারতেন, স্যালুট বাবা! কেন জানি মনে হয় বাবাই আমার অহৃদ্য জন্মতত্ত্বটা বুঝতে পেরেছিলেন। তাই হত্যাকরীর খাতায় নিজেকে নিবন্ধিত করতে চেয়েছিলেন।
জন্মের পেছনে আমার কোন হাত নেই, এমনকি আমার বাবা মাও জানতেন না আমি পৃথিবীতে আসছি, এখনো অনেকেই আমার জন্মদিনটা ভালোবাসাদিবসে হওয়ায় (যদিও এদেশে ভালবাসা দিবস আমদানী হয় ১৯৯৩খ্রি: বিশিষ্ট লেখক শফিক রেহমানের হাত ধরে) অবিশ্বাস্যকর মনে করে কেন জানি বুঝিনা। আমার বড় দু-ভাইবোন থাকায় বাবা-মা আমাকে পছন্দ করে বেছে নেন নি, আমি হয়ে গেছি। সবাই বোধ হয় এভাবে জন্মায় না। আমার জন্মটাও তাই অনেকটা অপাঙত্ত্বেয় ভাবেই হয়েছে। বাবার কাছ থেকে শুনেছি, কোন এক দিন বাবা-মা জানতে পারেন আমি আসছি, তখনই একছেলে একমেয়ে নীতিতে বিশ্বাস রাখেন এবং আমার আসা নিয়ে তাঁরা অপ্রতিগ্রহ। সিদ্ধান্ত স্থির হল, আমাকে ভ্রুনাবস্থায় হত্য করা হবে । যথারীতি বাবা মহৌষধ নিয়ে হাজির। বাবা নিজে ইনজেক্ট করতে পারতেন কিন্তু নিজের স্ত্রী বলে তা সাহস না করে বড়ব্বার (বাবার বড় ভাই) দ্বারস্থ হলেন। বড়ব্বা পেশায় স্কুলশিক্ষক এবং গ্রাম্য ডাক্টার ছিলেন, তিনি ঐ ইনজেকশন দেখেই বাবা উপর ভীষণ ক্ষিপ্ত হয়ে সেটি মেঝেতে ছুঁড়ে ফেলে দেন এবং আমার এই গ্রহে আসার পথটা এক্কেবারেই নিশ্চিত করে দেন। বাবা আজ বেঁচে নেই মা আছেন, বড়ব্বাও আছেন। শুধু আক্ষেপটা বড়ব্বার প্রতি তিনি ইনজেকশনটি না ছুঁড়লেই পারতেন, স্যালুট বাবা! কেন জানি মনে হয় বাবাই আমার অহৃদ্য জন্মতত্ত্বটা বুঝতে পেরেছিলেন। তাই হত্যাকরীর খাতায় নিজেকে নিবন্ধিত করতে চেয়েছিলেন।
(১৪ই ফেব্রুয়ারী ২০১৫খ্রি:, ২৮তম জন্মদিনের প্রথম প্রহর)
No comments:
Post a Comment