Search This Blog

Thursday, April 30, 2015

২৮তম জন্মবার্ষিকীতে.....

ডায়েরীর পাতা থেকে:
অনতীত জন্মপুরাণ
জন্মের পেছনে আমার কোন হাত নেই, এমনকি আমার বাবা মাও জানতেন না আমি পৃথিবীতে আসছি, এখনো অনেকেই আমার জন্মদিনটা ভালোবাসাদিবসে হওয়ায় (যদিও এদেশে ভালবাসা দিবস আমদানী হয় ১৯৯৩খ্রি: বিশিষ্ট লেখক শফিক রেহমানের হাত ধরে) অবিশ্বাস্যকর মনে করে কেন জানি বুঝিনা। আমার বড় দু-ভাইবোন থাকায় বাবা-মা আমাকে পছন্দ করে বেছে নেন নি, আমি হয়ে গেছি। সবাই বোধ হয় এভাবে জন্মায় না। আমার জন্মটাও তাই অনেকটা অপাঙত্ত্বেয় ভাবেই হয়েছে। বাবার কাছ থেকে শুনেছি, কোন এক দিন বাবা-মা জানতে পারেন আমি আসছি, তখনই একছেলে একমেয়ে নীতিতে বিশ্বাস রাখেন এবং আমার আসা নিয়ে তাঁরা অপ্রতিগ্রহ। সিদ্ধান্ত স্থির হল, আমাকে ভ্রুনাবস্থায় হত্য করা হবে । যথারীতি বাবা মহৌষধ নিয়ে হাজির। বাবা নিজে ইনজেক্ট করতে পারতেন কিন্তু নিজের স্ত্রী বলে তা সাহস না করে বড়ব্বার (বাবার বড় ভাই) দ্বারস্থ হলেন। বড়ব্বা পেশায় স্কুলশিক্ষক এবং গ্রাম্য ডাক্টার ছিলেন, তিনি ঐ ইনজেকশন দেখেই বাবা উপর ভীষণ ক্ষিপ্ত হয়ে সেটি মেঝেতে ছুঁড়ে ফেলে দেন এবং আমার এই গ্রহে আসার পথটা এক্কেবারেই নিশ্চিত করে দেন। বাবা আজ বেঁচে নেই মা আছেন, বড়ব্বাও আছেন। শুধু আক্ষেপটা বড়ব্বার প্রতি তিনি ইনজেকশনটি না ছুঁড়লেই পারতেন, স্যালুট বাবা! কেন জানি মনে হয় বাবাই আমার অহৃদ্য জন্মতত্ত্বটা বুঝতে পেরেছিলেন। তাই হত্যাকরীর খাতায় নিজেকে নিবন্ধিত করতে চেয়েছিলেন।
(১৪ই ফেব্রুয়ারী ২০১৫খ্রি:, ২৮তম জন্মদিনের প্রথম প্রহর)

Wednesday, April 29, 2015

কবীর সুমনের একটি বিখ্যাত গানের লিরিক্স

“অমরত্বের প্রত্যাশা নেই, নেই কোন দাবী দাওয়া
এই নশ্বর জীবনের মানে, শুধু তোমাকেই চাওয়া
মুহূর্ত যায় জনমের মত, অন্ধ জাতিস্বর
হত জন্মের ভুলে যাওয়া স্মৃতি, বিস্মৃত অক্ষর
ছেঁড়া তালপাতা পুঁথির পাতায়, নিঃশ্বাস ফেলে হাওয়া
এই নশ্বর জীবনের মানে, শুধু তোমাকেই চাওয়া

কাল ক্যেউটের ফনায় নাচছে, লক্ষীন্তরের স্মৃতি
বেহুলা কখনো বিধবা হয় না, এটা বাংলার রীতি
ভেসে যায় ভেলা এবেলা-ওবেলা, একই শব্দ বুনিয়ে
আগেও মরেছি আবার মরবো, প্রেমের দিব্যি দিয়ে
জন্মেছি আমি আগেও অনেক, মরেছি তোমারই কোলে
মুক্তি পাইনি শুধু তোমাকেই, আবার দেখবো বলে
বার বার ফেলে এসেছি আমরা, এই পৃথিবীর টানে
কখনো ডাঙোর কখনো কোপাই, কপোতাক্ষর গ্রামে
ঘাঙর হয়েছে কখনো কাবেরী, কখনোবা মিসিসিপি
কখনো রাইন কখনো কঙ্গ, নদীদের স্বরলিপি
স্বরলিপি আমি আগেও লিখিনি, এখনো লিখিনা তাই
পথে মুখে ফেরা মানুষের গানে, শুধু তোমাকেই চাই
তোমাকে চেয়েছি ছিলাম যখন, অনেক জন্ম আগে
তথাগত তার নিঃসঙ্গতা, দিনের অস্ত রাগে
তারেই করুনায় ভিক্ষারীনি তুমি, হয়েছিলে একা একা
আমিও কাঙাল হলাম, আর এক কাঙাল দিলে দেখা
নতজানু হয়ে ছিলাম তখনো, এখনো যেমন আছি
মাধুকরী হও নয়ন মোহিনী, স্বপ্নের কাছাকাছি
ঠোঁটে ঠোঁট রেখে ব্যরিকেড পড়ো, প্রেমের পদ্যটাই
বিদ্রোহ আজ চুমুর দিব্যি, শুধু তোমাকে চাই
আমার স্বপ্নে বিভোর হয়েই, জন্মেছ বহুবার
আমি ছিলাম তোমার কামনা-বিদ্রোহ চিৎকার
দুঃখ পেয়েছ যতবার, যেন আমায় পেয়েছ তুমি
আমি তোমার পুরুষ, আমি তোমার জন্মভূমি
যতবার তুমি জননী হয়েছ, ততবার আমি পিতা
কত সন্তান জ্বালাল প্রেয়সী, তোমার আমার চিতা
বার বার আসি আমরা দুজন, বার বার ফিরে যাই
আবার আসবো আবার বলবো, শুধু তোমাকেই চাই

আবার আসবো আবার বলবো, শুধু তোমাকেই চাই”…….কবীর সুমন(কলকাতা)

ভালোবাসা নিয়ে মার্লে

ভালবাসা নিয়ে মার্লে:

“তুমি তার জীবনের প্রথম, শেষ বা একমাত্র নাও হতে পার। সে আগেও ভালোবেসেছে বা সামনে আবার ভালোবাসবে। কিন্তু সে যদি তোমাকে এই মুহুর্তে ভালোবাসে, তাতে ক্ষতি কি? সে হয়তো পুরো খাঁটি নয়, তুমিও তো নও। তোমরা দুজনে মিলে হয়তো পুরো খাঁটি হতে পারবে না। কিন্তু সে যদি তোমার মনে আনন্দ দিতে পারে, সে যদি তোমাকে একটি বিষয়ে দ্বিতীয় বার ভাবতে বাধ্য করে, তোমাকে মানবিক করে তোলে এবং সে যদি ভুলও করে তুমি তাকে ধরে রাখো আর তাকে সব কিছু দাও, যা তোমার আয়ত্তে আছে। সে হয়তো প্রতিটি মুহূর্তে তোমার কথা ভাববে না কিন্তু সে তোমাকে তার নিজের একটা অংশ দিয়ে দেবে, যা তুমি ভাঙতে পার, সেটা তার হৃদয়। তাই তাকে কষ্ট দিয়ো না, তাকে বদলে ফেলো না। তার কাযর্কলাপ কষ্টিপাথরে যাচাই করতে বোসো না এবং সে যতটুকু দিতে পারে, তার থেকে বেশি চেয়ো না। সে যখন তোমাকে সুখী করে, তখন হাসো। তাকে বুঝতে দাও, সে কখন তোমাকে পাগল করে দেয় এবং যে সময় সে তোমার কাছে থাকে না, তখন তাকে মিস্ কোরো।”  

Friday, April 17, 2015

মাস দুয়েক আগের লেখা

আপনার পূণ:পৌনিক মৃত্যু আমার একখান কবিতাময় শরীর ছিল, যা আমায় ছেড়ে গিয়েছে আর একখান বুক ছিল যেখানে এখনো তোমার স্মতি আমি উঠতে পারতাম; বলতে পারতাম; কিন্তু কার জন্য!? আমি চিৎকার করতে পারতাম; কিন্তু কার জন্য চিৎকারটা দিব!? প্রেম, বন্ধু, এসব আমার থেকে দূরে ঠেলে দিয়েছিলাম আর রাখবোই বা কার জন্য!? আমার মনের ইচ্ছায় আমি জেগে উঠতে পারতাম বা আবার ফিরে আসতেও পারতাম কিন্তু, শালা এখন তোকে কে“এই যে” বলে ডাকবে!? পেয়ে গেছিস একজনকে না? ধুৎত্ত্যরি মেয়েটি; যে বসেছিল; দাঁড়িয়েছিল; আমার পাশে, খোদার কসম আমি তাকে ওভাবে চিনতাম না আসলে দূরে থাকাতেই সুখ মরে যাওয়াতেই শান্তি পাই তার থেকে কিন্তু আমি উঠব কোন একদিন ওই পাহাড় চূড়ায় ছুটে চলার জন্য আবার কোন সুন্দরীর প্রেমে পড়ার জন্য............ (ছাত্রাবাস; প্রহর: রাত-০১:০৫,২৬/০২/২০১৫খ্রী:)


Thursday, April 16, 2015



আমার পোষা তিনটি খরগোশ ছানা, দেখলেই আদর করতে ইচ্ছে করবে, ওরা হিংসে, বিদ্বেষ, ঘৃণা, প্রেম, ভালবাসা, প্যাকেজ ভাললাগা এগুলোর কিছুই বোঝে না শুধু খাবার দিলেই খেয়ে একটু এদিক ওদিক ঘোরাফেরা করে আবার ঘুমিয়ে পরে, ওরাই আমার একাকিত্বের আধারে এক ফালি আনন্দময় চন্দ্রালোক। ওরাও আমার কাছে আনন্দ খোঁজে,     তবে সময়-দিনক্ষণ-চোখের আড়াল-কারো সাথে যাচাই বাছাই করে নয়...একদম নিজের ভাললাগা করে। ওরা ভাললাগা লেনদেন করতে শেখেনি, ওরা প্যাকেজ ভাললাগা শেখেনি, ওরা সময়ের ব্যবধানে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করতে শেখেনি, নতুন নতুন প্রেম খুজে বেড়াতে শেখেনি.........................ওদের ছেড়ে দিলেও ওরা আমার কাছেই ফিরে আসবে কিন্তু যে কখনোই আমার ছিল না সে ফিরে আসে কেমন করে?

Wednesday, April 15, 2015

ইচ্ছে করে কত কিছু!

অতৃপ্ত আত্নচিৎকার

মাঝে মাঝে নিজেকে বিনির্মাণ করতে ইচ্ছে করে,
ইচ্ছে করে,
নিজেকে বানিয়ে ফেলি আজন্ম জাতিস্বর
ইচ্ছের হাওয়া থেমে থাকে না, মাঝে মাঝে গোত্তা খেয়ে
খেই হারিয়ে থেমে যায় যখন-

কিছু মুখ-কিছু অপূর্ন অবয়বকে দেখে-
ইচ্ছেরা প্রতিবাদ করে;
পথের ধারে কোন প্রতিবন্ধীর প্রতিবন্ধকতা দেখে, যা তার আত্ন সৃষ্ট নয়;

ইচ্ছেরা হাসপাস করে
কোন যুবতীর স্তনযুগল দেখে;
কিংবা ঐ দুখন্ড মাংস পিন্ডকে কল্পনায় একেঁ;
ইচ্ছে গুলি কিলবিল করে থেকে থেকে
যুবতির পেছনে হেঁটে যাওয়া বাবার ভ্রু কুঁচকানো কপাল
যেখানে কন্যাদায়গ্রস্থ পিতার চিরায়ত মানচিত্রের অবয়ব খচিত;

ইচ্ছেরা নিঃশ্বাস ফেলে
কোন নারীর নিশিথ প্রতিক্ষায়;
বাবা কাজে গেছে বলে মেয়েকে কোনমতে জলখাবারে
ভুলিয়ে রেখে ঘুম পাড়ানোর মিথ্যে আশ্রয়ের প্রহসনে;

ইচ্ছেরা নিঃশব্দে কাঁদে
সন্তান বড় হলে, বৃদ্ধ বাবা-মার নিঃসঙ্গতায়;
নিজের আকুতি শোনার শ্রোতা মেলা ভার ভেবেও
যাঁরা থাকে সন্তানের কথা শোনার প্রতিক্ষায়;

ইচ্ছেরা ব্যকুল হয়
যখন প্রবল আকাঙ্খা থাকার পরও
নিজের শক্ত ব্যমোটাকে সারাতে পারেনা
কোন এক নিভৃত গ্রামের বৃদ্ধা তার
একাকিত্বের মাঝে বরন করে মরণ যন্ত্রনাকে;

সমস্ত ভাষায় ইচ্ছেরা বেঁচেও, মরে বার বার
আর ইচ্ছে করে না নিজেকে সুখী করে দেখার......

Friday, April 10, 2015

বাগেরহাট ষাট গম্বুজ মসজিদ যাবার সৌভাগ্য  হয়েছিল, ২০১২খ্রিঃ প্রানিবিদ্যার ৪র্থ বর্ষের ছাত্র থাকাকালীন, স্থাপত্য, ঐতিয্য আর সমুদ্রের স্পর্শ পাওয়া সুন্দরবন আর একবার যাবার ইচ্ছে আছে।

Sunday, April 5, 2015

আমাদের আবুল হোসেনদের সংসার

ছোট বেলা থেকেই অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে দু পা অকেজো হয়, মা-বাবা মারা যাবার পরই সংসারের ঘানি টানতে টানতে জীবনের ৫৯টি বসন্ত পার করে এসেছেন। শ্রমজীবি হিসেবে আবুল হোসেন একজন সফল মানুষ। সারাদিন অন্যের বাড়িতে শ্রমবিক্রি করে বাশঁ, বেত, গোখাদ্য তৈরি সংশ্লিষ্ট কাজের বিনিময়ে পান ২০০-২৫০টাকা, তা দিয়ে ৫জনের সংসার কোন রকমে চলে যায়। সখের বশেই কোন এক বড় কর্মকর্তার বিয়ের ঘটকালী করেই ঘটক নামক অতি পরিচিত একটি পেশায় নিজেকে যুক্ত করেন। কুড়িগ্রাম রেলস্টেশনের নতুন শহরের এই পরিচিত মানুষটি কখনো কারো কাছে সহযোগীতা বা সাহায্য প্রার্থনা করেননি বরং তিনি যখন রাস্তায় বের হন তখন অনেকেই ভিক্ষুক ভেবে তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় বলে, তার বাহনের সামনে নিজের পরিচয়টা লিখে এভাবেই তিনি ঘুরে বেড়ান শহর-গঞ্জ-গ্রামে। সংসার নামন পার্থিব খেলায় তিনি যুক্ত করেছেন ২৩২টি পরিবারের শুভ সূচনা


………………………………কুড়িগ্রাম চিরকুমার সংঘের পক্ষ থেকে তাকে অভিনন্দন জানাই!

Friday, April 3, 2015

বেশ কিছু দিন আগের লেখা

আত্নকথাগুলো নামে বেনামে

নাম মনে থাকলেও চেহারা ভুলে যাই
গন্ধের কথা মনে এলে এখনও সুঘ্রান পাই
বড় হওয়া বোধহয় আর হবে না আমার
তবু বেচেঁ থাকতে হবে যে কোন প্রকারে
দিনের আলোয় মরে যাওয়া তারারাও বেঁচে থাকে যেমন
রাতে দপ্ দপ্ করে জ্বেলে ওঠে অন্ধকারে//..............

......কবিতায়তনের শেষাংশ বিশেষ শেষ করতে পারিনি, শীত-বিকেলের দুবর্লতা আছে, বর্ণময় ধূসর রং আর শ্বেতচাদরে বেড়িয়ে পড়ি অজানার উদ্দেশ্যে- কেউ একজন কে খুঁজবো বলে কিন্তু তার দেখাতো কখনোই পেলাম না, কোন কালেও হয়তো পাবো না। কোথাও না কোথাও চলে যেতে হয় রোজকার অশান্ত মনের পিয়াসে, অখ্যাত বিছানার চাদরে প্রত্যবতর্ন হয় মধ্যরাতে। বেডশীটে আঁকা বিবিধ ছবি মনে রং ধরাতে পারে না, অনুদ্ধারকৃত বাস্তব স্বপ্নে দেখি সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছি চাঁদের পানে। গ্যস্ট্রিকের ভয়ে আক্ষেপ করা শুনতে শুনতে আনোয়ারু এর চায়ের দোকানে গেলে এখন তাকে বলতে শুনি আপনার তো আবার অ্যসিডিটি তাই অন্য কিছু দিব কি...? ভাবছি এবছর ডজন খানিক বই পড়ব, পড়তে গেলে ঘুমে জড়িয়ে আসে চোখ। বয়স বাড়তে বাড়তে আরো ছোট হচ্ছি, আরো ছোট হতে হবে সময়ের দ্বারে দ্বারে, যে মশাটাকে দেয়ালে পিষে দিই আমি, সেই আমিই ভাজা মাছটাও চিবিয়ে খাই অতি সাবধানে, ছেলেবেলায় মাছের অন্তঃকংকালজনিত যন্ত্রনায় হোমিওপ্যাথির অভিজ্ঞতা আছে।খিলি পান খেতে গেলে অপসংস্কৃতির অনুপ্রবেশের মত লাল-নীল মসলার অংশগুলো বাদ দিয়ে খাই পাছে ক্যন্সার না হয় ভেবে।  খুব বেশি মনে নেই কবে কোথায় শ্রমসাধ্য খেলাধুলা করেছি তবে বসে বসে খেলা যায় দাবা তে নেশা আছে এখনও ভীষণ। হাতে সাবান মাখলে মনে পড়ে সাবানের ফেনায় ফু দিয়ে বেলুন বানাতে পারতাম। ধুলোমাখা একপৃষ্ঠা রোলটানা সাদা পাতা দেখে মনে হয় এখন আর কাগুজে বিমান বানানোর সেই হাত নেই।
কোন বৃষ্টির পর আর জ্বর আসেনা মাঝরাতে, মায়ের নির্ঘুম রাত এখন আমার জন্য নয় নিজের ব্লাড প্রেসার কে ঘিরে জানালা খুলে হাত বাড়িয়ে জোনাকীর নাগাল তো দুরের কথা অন্ধকারকেও ছুঁতে পারিনা প্রবল বৃষ্টিতে কাকভেজা পাখি মনে হয় নিজেকে যখন খবরের কাগজে চোখ বুলাই-অর্থনীতি আজ বিপর্যস্ত-অঞ্জলী দেবীকে কুপিয়ে মেরেছে দুর্বৃত্তরা-অন্যপাতায় বাড়িঘরের সাথে পুড়িয়েছে ইসলাম মিয়ার স্বপ্ন-৬বছরের শিশুকে ধষর্নের রঙিন ছবিও ছাপা থাকে একটু নিচে কোথাও চলে যেতে হবে অতি শীঘ্রই, ল্যম্পপোষ্টের নিচে নির্ঘুম কাটানো অতন্দ্র প্রহরীর গায়ে আজ চাদঁমামা তার ভাগ বসাবে রাত বাড়ছে......বিষন্নতা বাড়ছে....কোন স্বপ্নে মেঘ ছুয়ে দেখেছি যার শুভ্রতা আজো ভাবায় আসলে ওগুলো ধোঁয়াসা ছাড়া আর কিছু নয় সিগারেটের ধোঁয়ার মতো...(৩১-০১-২০১৫খ্রীঃ)




Thursday, April 2, 2015

আমার ব্লগের উপশিরোনাম

পশুই কখনোই মিথ্যে বলে না, কিন্তু মানুষ মিথ্যেকে সৃজনশীলতার রুপে নিয়েছে, সাদাকে- সাদা,কালোকে-কালো, ভালকে-ভাল, মন্দকে-মন্দ বলতে যদি এতই ভয়, তবে নিজেকে পশু পরিচয় দিতে ভয় কোথায়? গ্রাফ পেপারে নিজের সারাদিন বলা মিথ্যে গুলোকে ছকে আঁকা হলে যে উর্দ্ধমুখী ঢাল পা্ওয়া যাবে, যার উৎপত্তি বিন্দুর স্থানাঙ্ক হবে কেমন আছ? ! “ভাল আছি”(মিথ্যে কথা)”

Wednesday, April 1, 2015

চিকিৎসার চিত্রলেখ ও দস্যুতাময় শর্টহ্যান্ড

 চিকিৎসার চিত্রলেখ ও  দস্যুতাময় শর্টহ্যান্ড....

গত কয়েকদিন থেকে আমার এক নিকটাত্বীয়ার মেয়ের নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার কারনে বেলা অবেলায় আমার যাতায়ত ছিল সদর হাসপাতালের অলিগলিতে। একটি ভিন্ন রকম অভিজ্ঞতার বিষয় আমার কাছে খটকা লেগেছে তাই শেয়ার করলাম। যে ডাক্টার শিশুটিকে  প্রথম দেখলেন তিনি কোন রকম পরীক্ষানিরীক্ষা ছাড়াই বললেন রংপুর  এ নিতে। একটু কাছে এসে যদি হাতটা বা চোখটা ধরে এদিক ওদিক করে দেখতেন তাও একটা শান্তনা পেতাম । যাই হোক তারপরও শিশুটির অবস্থার কথা ভেবে আমি কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালেই রেখে গেলাম। কিছুক্ষণ পর এসে দেখি ডাক্টার একগাদা ঔষদের চিত্রলেখ/শর্টহ্যান্ড নোট ব্যবস্থাপত্রে লিখে দিয়ে গেছেন। যা দেখে আমি তো দুরের কথা ঐ ওয়ার্ডের সয়ং নার্সও বুঝতে  পারছিল না । রীতিমত ব্যবস্থাপত্রে চোখ বুলাতে বুলাতে নার্স অবশেষে মুঠোফোনে চিকিৎসকের স্মরনাপন্ন হলেন এবং একটি চিরকুটে লিখে দিয়ে বললেন ওমুক দোকানে গেলে পাবেন। যথা নিয়মে ভদ্রতার সাথে ঐ চিরকুট খানা গ্রহণ করে আমি তার কথা মতো অমুক দোকানে গিয়ে (বাবার ভদ্র ছেলেটির মতো )
ঔষদ গুলো সংগ্রহকালিন পরলাম আর এক বিপদে। কোন এক কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি আমার হাত থেকে কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই ব্যবস্থাপত্রের ছবি তুলে নিলেন। মনে হয়েছিল না জানি কোন বিপদে পরেছি । যাহোক  আমাদের ডাক্টার বাবুগণ যদি একটু স্বহৃদয়বান হয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্র গুলো একটু Capital letter এ লিখতেন তাহলে হয়তো সকলের কাছে বোধগম্য হতো । বেশ কয়েক বছর আগে এরকম একটি ভার্চুয়াল অান্দোলনও হয়েছিল। এখন বোধ হয় আরও একটি অান্দোলনের ডাক ‍দিতে হবে। ঔষদ দস্যুতার বানিজ্যিকিকরন ও এর প্রকাশ্যে ন্যংটামো দৌড়াত্ব বন্ধ না করলে কয়েক মুহূর্তই অপেক্ষা করতে হবে আপনার আমার অসুস্থতার সুযোগে লুফে নেয়া তাদের বানিজ্যিক লালসার নামে অপচিকিৎসার মৃত্যুর মিছিলের পরিসংখ্যান বৃদ্ধির সমীকরনে। “Capital letter ই হোক বানিজ্যিক ডাক্টারের বানিজ্যিক ব্যবস্থাপত্রের ভাষা।” 

আমার ব্লগিং এর প্রথম লেখা


অঞ্জন দাদার গানে গানেই বসন্তের এই ক্ষনে 
আমার প্রথম পোষ্ট............................

আজ হোক না রং ফ্যাকাশে
তোমার আমার আকাশে
চাঁদের হাসি যতই হোকনা ক্লান্ত
বৃষ্টি নামুক নাই বা নামুক
ঝড় উঠুক নাই বা উঠুক
ফুল ফুটুক নাই বা ফুটুক
আজি বসন্ত……………..

হতেও পারে আমাদের এই গান কেউ রাখবেনা মনে করে
হারিয়ে যাবো আমরা সময়ের অগোচরে
হতে পারে এটাই শুধু ভালবাসার ভরা বিশ্বাস
হয়ে যেতেও পারে এটাই আগামীর ইতিহাস
দিনটা হোকনা যতই মেঘলা
ঘরে থাকবোনা পরে একলা
চলো বেড়িয়ে পরি যেদিকে দুচোখ যায়
কেউ জানুক নাই বা জানুক
কেউ মানুক নাই বা মানুক
আমি লিখবো স্বপ্ন আমার কবিতায়
যে যা বলে বলুক
গান চলুক নাই বা চলুক
হোকনা সময় যতই ভারাক্রান্ত
বৃষ্টি নামুক নাই বা নামুক
ঝড় উঠুক নাই বা উঠুক
ফুল ফুটুক নাই বা ফুটুক
আজ বসন্ত……………..