Search This Blog

Friday, October 9, 2015

কুড়িগ্রাম আর একটু কুড়িগ্রাম হয়ে উঠুক…

                                             কুড়িগ্রাম আর একটু কুড়িগ্রাম হয়ে উঠুক…
                                   ARIFUZZAMAN ARIF·FRIDAY, OCTOBER 9, 2015
সত্য কথাই তেঁতো আর অসুন্দর সদা অসত্য, অন্যায়। শ্যাখ সাহেবের বেটি আসছেন এ শহরে, সাজ সাজ রব চারিদিকে, অসমান রাস্তা সমান হলো, যে রাস্তায় শুভ্র শরতের ধূলো উড়তো সকাল বিকেল, সে রাজপথ বিটুমিনাসের তীব্র ঝাঝালো গন্ধের দখলে। তেলের খনির ইজারা দেয়া হয়েছে ডাইরক্যা পুটিদের, যাদেরকে লুঙ্গির উপর জাঙ্গিয়া কিংবা শার্টের উপর স্যন্ডোগ্যঞ্জি পড়তে দেখা যেতো হরহামেশাই। রং বে-রংয়ের ব্যানার-ফেস্টুন-বিলবোর্ড এর ব্যবসা জমজমাট। জাখলা সাহেব নৌকা বানাতে দিব্যি হম্বিদম্বি অবস্থা, এই রাজস্ব-ঐ- জেলারেল কর্মকর্তা বলছেন না না আর একটু বৈঠাটা বড় করলে ভাল লাগবে, হাজার হোক একটা মহাপ্লাবন হতে যাচ্ছে তো এই শহরে। মাথার উপর দু-একবার হেলিকপ্টার উড়তে দেখা যাচ্ছে।চার স্তরের সিপাহশালারা উপস্থিত যদি কোন পিঁপড়ে বা উঁইপোকা আবার নৌকার তলায় ফুটো করে। যে খেলার মাঠ গরু-ছাগলের দখলে ছিল তা এখন লাল ফাস্টক্লাস ইটের প্রলেপে ঢাকা। যে ফুটপাত নিম্নবিত্তের নিউমার্কেট ছিল তা এখন চুনোপুটিদের তোড়নের ভারে ২.৫ ইঞ্চি দেবে গ্যাছে। শ্যওলা ধরা পুকুর পাড়ে এখন ফাস্টফুডের দোকান বসেছে। জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাড়িঁয়ে থাকা অট্টালিকা গুলো এখন রুচিশীল মনের বার্জার প্লাস্টিক পেইন্ট দিয়ে ঢেকে দেয়া হচ্ছে। দলের পেছরের সারিতে থাকা নেতারা এখন গিজগিজ করছে নৌকার আসেপাশে। আজ বিকেলে এই সব অভিজ্ঞতা নিয়ে বাসায় এসেই ভাবনার খাতায় বেখেয়ালী কলম চালালো ছেলেটা। কিছু প্রশ্ন বার বার ধোঁয়া তুলছিল ছেলেটার মস্তিষ্কে। আসলে কি এই? নাহ! শুধুমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয় যেদিক দিয়ে তার গাড়ি বহর নিয়ে যাবেন সেইটুকু অংশই এরকম চাকচিক্যময় করে তোলা হয়েছে। তাহলে তিনি কি দেখবেন? এ অঞ্চলের মানুষের কমতি কিসের? রাস্তাঘাট তো বেশ ভালই আছে নাকি? তাহলে কিসের আবার দাবি দাওয়া? কুড়িগ্রামের আসল অবস্থা গুলো প্রধানমন্ত্রী জানেন? নাগেশ্বরী-ভুঃঙ্গামারী সড়কের বেহাল দশার কথা জানেন? ভাঙনের ফলে চরাঞ্চলের জীবন জীবিকার কথা জনেন? বেকারদের মনের কথা জানেন? এইটুকু লিখেই ঘুমোতে গেল ছেলেটা। অত:পর ঘুমের মধ্যে একখানা মাইথলজিক্যাল ড্রিম দেখলো ছেলেটা।
“একদা এক দেবদূত এক নগরীর উপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল, সহসা তিনি কি মনে করে জানি তার বাহন থামিয়ে নেমে আসলেন নগরীতে। নগরীর খেটে খাওয়াদের দল, ইট ভাঙা মাথার দল, পেপার বিক্রেতার দল, ভীক্ষুকের দল, এতীম অনাথের দল, পুষ্টিহীনদের দল, নদী ভাঙাদের দল, দ্বীপ চরের দল, বন্যার্তদের দল, ফসলহারা কৃষকদের দল, রিক্সাওয়ালাদের দল, ভুক্তভোগীদের দল, বেকারদের দল, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দল, কয়লা ব্যবসায়ীদের দল, বালুশ্রমিকের দল, শিক্ষিত বেকারদের দল সেই সাথে কাক পক্ষির দলও প্রত্যেকেই তাদের মনের কথা গুলো দেবদূতকে বললো। দেবদূতের মনে গভীর দয়ার উদ্রেগ হলো, তিনি নগরীর দূরাবস্থার কথা শুনে সঙ্গে সঙ্গে বর দিলেন:
নগরীর কেন্দ্রে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, নগরী থেকে দূরে দুর্গম চরাঞ্চলে স্বাস্থ্যকেন্দ্র, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার ভবন, বিচারালয়, রেল যোগাযোগ, আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকেন্দ্র, শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ইত্যাদি। দরদী দেবদূত এই সকল উপহার দিয়ে নগরবাসীর কাছ থেকে বিদায় নিলেন”।
ছেলেটা সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে অফিসে যাওয়ার সময় দেখল মোটর বাইকে তেল নেই। অগত্যায় রিক্সায় উঠে জনৈক ব্যক্তির কন্ঠে “মাজে মইধ্যে এ্যংকরি দুই একজন করি নেতা-কোতা আইসলে তো ভালই হইল হয়, আর যাই হোক রাস্তাঘাট গুল্যা ভালই হয়্যা গেইল বাহে এলা” শুনতে শুনতে অফিসের দিকে চলে গেলো। জয় হোক স্বপ্নের, সফল হোক জননেত্রীর আগমন।

আজ ঈদ, নগরীর ঘরে ঘরে আতংক!

       আজ ঈদ, নগরীর ঘরে ঘরে আতংক!
                                               ARIFUZZAMAN ARIF·SATURDAY, OCTOBER 10, 2015

“আজ ঈদ মদিনার ঘরে ঘরে আনন্দ। পথে পথে শিশুদের কলোরব। দলে দলে লোকজন ঈদগাহে যাচ্ছে। তাদের গায়ে নানান রংয়ের পোষাক। বাতাসে আঁতোরের গন্ধ…………..” বাল্যকালের স্মৃতির পুকুরে ডুব দিয়ে দেখুন না, প্রায় সবাই এই লেখাটি পড়েছিলাম প্রাথমিকের প্রথম শ্রেনীর “আমার বই” নামক বইয়ে। শাওয়ালের প্রথম আকাশের কোণে যখন হাসি মাথা বাঁকা চাঁদ খানা দেখা দিতো তখন হৈ হুল্লোর করে এ বাড়ী ও বাড়ী বলে বেড়াতাম “চাঁদ উঠেছে, চাঁদ উঠেছে”। মা-চাচী রা চেঁচামেচী শুনে বাইরে বেরিয়ে আসতো, তখন রেডিওতে খুব জোরে সাউন্ড দিয়ে ভাইয়া গান শোনাতে আহ্বান করতো “ও মোর রমজানের ঐ রোজার শেষে এল খুশির ঈদ.............”। মায়েরা ব্যস্ত হয়ে পরতেন পিঠা, পায়েশ, স্যমাই রান্না ইত্যাদি আরো কতো কি...!!!! মদিনার সেই আনন্দ লেগে যেতো প্রতি পাড়ায় পাড়ায়। এ ঘর ও ঘর বেড়ানো , রাত জেগে ভোরের প্রত্যাশায় কান খাড়া থাকতো। কখন যে ভোরের আজান হবে আর কার আগে কে গোসল করবে এ নিয়ে প্রতিযোগিতা লেগেই থাকতো। আগে গোসল করতে পারলে সোওয়াব অনেক। কতোবার যে প্রথম হয়েছি, আবার কখনো প্রথম হতে গিয়ে অন্যের ঘারে লাফিয়ে পরেছিলাম পুকুরে তার হিসেব নেই।
কুড়িগ্রামের ঘরে ঘরে ঈদ। এবার মুহররম মাসের ১ তারিখে কুড়িগ্রাম শহরে একটি অন্যরকম ঈদ উদযাপন হতে যাচ্ছে। আজ কাল পরশু এভাবে ক্ষণ গনণা শুরু হয়েছে। পথে পথে নেতাদের কলোরব। দলে দলে লোকজন বলাবলি করছে। তাদের গায়ে শার্টের উপর স্যান্ডোগেঞ্জি, লুঙ্গির উপর আন্ডার অ্যয়ার। বাতাসে প্রেট্রোলের গন্ধ..........শহরের প্রাণ কেন্দ্রে দেখা যাচ্ছে নানান রংয়ের পোস্টার, ঝারবাতি ‍ইত্যাদি। মাইকে জোরে জোরে বাজানো হচ্ছে “..... ময়দানের জনসভায় যোগ দিন, যোগ দিন”। ছোট-বড়-হালকা-ভারী-মাঝারি-নেতারা বিভিন্ন ধরনের সংকুচিত-বর্ধিত সভার ব্যস্তদিন কাটাচ্ছে। কে কার আগে তোড়ন বসায়, কার তোড়ন হেলানো দোলানো নকশা করা, কার ছবি ভাল হয়েছে ইত্যাদি।
কিন্তু “দি উচ্ছেদ পান স্টোর” নামক পান বিক্রেতার ঘুম হারাম। তার এই ঈদ কোন ভাবেই তার ঘরে পৌছাচ্ছে না। করন দেশনেত্রী শেখ হাসিনার (প্রধানমন্ত্রী) আগমন উপলক্ষে কুড়িগ্রাম শহরের সাজ সাঝ ভাব থাকলেও এই মহানন্দক্ষণে তাদের দোকান-পাট, ব্যবসাপাতি, হোটেল-মোটেল, এখন বুলডোজার নামক স্যামাই খেয়ে ফেলেছে। খুশি ভাগাভাগি তো দুরের কথা, আজ রাতে তার ঘরে ভাতের হাড়ি উঠবে কিনা তা জানা নেই আমাদের। এই শহরের অধিকাংশ লোকই অতিদরিদ্রসীমার নিচে বাস করে । অভাবী নাগরিকদের কেউ কেউ রাস্তার দুপাশে পরে থাকা পতিত জমি ব্যবহার করে দোকানপত্র নিয়ে বসে দু-চার পয়শা কামাই রোজগার করে খায় বটে। কিন্তু আমাদের তা আর চোখে সইল না। নেত্রী যে রাস্তা দিয়ে যাবেন তার উভয় দিকের অবৈধ স্থাপনা সহ সকল স্থানের অবৈধ স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আগামী কাল আবার নতুন কোন অবৈধ স্থাপনা ভাঙা হবে। এভাবে অভিযান অব্যহত থাকবে। সুতরাং শহরের কিছু কিছু নাগরিকের মনে ঈদ ঈদ ভাব থাকলেও ঐসব উচ্ছেদ নামক পানবিক্রেতার মনে ঈদ পূর্বমুহূর্ত আনন্দ নয় আতংক!
তার পরও শেখ হাসিনার আগমন, শুভ বার্তা বয়ে নিয়ে আসুক কুড়িগ্রাম বাসীর। জয় বাংলা।
ছবিঃ KGM নাহিদ।

অনেকটা নিরবেই চলে গেলেন...

গীতিকার নায়ীম গহর আর নেই আমাদের মাঝে

‘জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো’, ‘নোঙ্গর তোলো তোলো সময় যে হলো হলো’, ‘পূবের ঐ আকাশে সূর্য উঠেছে’ -এর মতো সাড়া জাগানো গানের গীতিকার নয়ীম গহর আর নেই। মঙ্গলবার রাত সোয়া একটায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে হৃদরোগসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় আক্রান্ত শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। স্বাধীনতা পদকপ্রপ্ত কালজয়ী এই গীতিকার অনেক দেশাত্মাবোধক গান লিখেছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় লিখিত তার গানগুলো মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলো। গান লেখার পাশাপাশি একজন ঔপন্যাসিক, গায়ক, অভিনেতা ও নাট্য রচয়িতা ছিলেন তিনি। বিবিসি বাংলার ভাষ্যকার ও সংবাদ পাঠক হিসেবে কাজ করেছেন। গীতিকবি নয়ীম গহরকে ২০১২ সালে স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। নয়ীম গহরের মরদেহ বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। তাকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

বিড় বিড় করে বলা অনুগল্পগুলো

বিড় বিড় করে বলা অনুগল্পগুলো
মনে মনে জিয়ে রাখা অনুগল্পগুলো
অনুগল্প - ০১ আমার ছোটবেলায় এরকম হতো, হঠাৎ ঘুম ভাঙ্গার পর খানিক সময় লাগতো যে, এখন কোথায় আছি? স্কুল জীবনে কোন কঠিন পরীক্ষার আগের রাতে মোটামুটি কম ঘুম হতো, হঠাৎ ঘুম ভাঙ্গার পর ভোর রাতে জেগে উঠেই দেখতাম কিছ্ছুই মনে নেই। মেসে থেকে পড়াশুনা করতে হয়েছিল বলে কলেজ ছুটিতে গ্রামে ফিরলে হঠাৎ মায়ের ডাকে ঘুম ভাঙ্গার পর মনে হতো বুয়া ডাকছে, সময় লাগতো নিজেকে ফেরাতে যে, আমি কলেজে না বাড়ীতে আছি। গত শুক্রবার সকালে উঠে বেশ গম্ভীর ভাবে হাটাহাটি করে দাঁতব্রাশ করার সময় চোখ পরলো পত্রিকা স্ট্যানে। হকার সবে মাত্র পত্রিকা দিয়ে গেছে, কেউ এখনো ভাঁজ খোলেনি। প্রথম আলো। চিত্রসমেত শিরোনাম দেখে আঁতকে উঠলাম “ওমা একি? গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে আছি?” মদ্যপ অবস্থায় শিশুকে গালি ও গুলি করলো সয়ং সাংসদ!!! ০৩/১০/২০১৫খ্রি:
অনুগল্প - ০২ কয়েকদিন আগে গণমাধ্যমে দেখলাম শয়তান কে ঢিল ছুড়তে গিয়ে, মিনায় বহু হাজীর প্রাণ গেলো !!! তবে কি শয়তান………………!? (৫৭ ধারায় মামলা হতে পারে তাই শুণ্যস্থানে কিছু লিখলাম না) ০১/১০/২০১৫খ্রি:
অনুগল্প - ০৩ অফিসে চোখে পড়ার মত লম্বা চওড়া বস। স্বাস্থে মাশাল্লাহ বোয়াল ভোজী। তাঁর বিরুদ্ধে বলার সাহস নেই কারো। বস তো এরকমই হয়। কোন সহকর্মীর বিদায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত হই বা না হই, কোন গুনাগুন করি বা না করি বসের বিদায়ে বলতে শুনি “আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি আমাদের বসের মতো ভাল বস আর কোথাও পাবেন না, ইনিই আমাদের দেখা শ্রেষ্ঠ বস”(বক্তব্যের শুরু ও শেষ একই থাকে)

Friday, July 31, 2015

জরায়ুতে বুলেট ! ও অংশীদারী ভূ-খন্ড অধ্যয়ন

জরায়ুতেই থাকতে নাম না জানা শিশু যখন বুলেটের আঘাতে হাসপাতালের আই.সি.ইউ তে তখন একটি আশা জাগানিয়া খবর শুনতে পেলাম আজ রাত ১২:০১মি থেকে বাংলাদেশের দ্বীপায়ণিক রাজ্যে(ছিটমহলের আভিধানিক অর্থ)স্বাধীন সাবর্ভৌম স্বীকৃতির পতাকা উড়বে। জানা যায়, ষোড়শ শতাব্দীতে মোঘল সেনাপতি মীরজুমলা কোচবিহার রাজ্য আক্রমণ করেছিলেন। এ সময় কোচ রাজা মোঘলদের বশ্যতা স্বীকার করে “কারদ” রাজ্যে পরিনত হয়। সে সময় মোঘল অধিকৃত ১১১টি এলাকার অধিবাসী কোচ রাজার বশ্যতা স্বীকার করে তার রাজ্যের প্রজা হিসেবে থাকার ইচ্ছে প্রকাশ করে ও তার রাজ্যভুক্ত হয়। তখন তাদের বলা হতো রাজগীর। তখন থেকে ঐ এলাকার অধিবাসীগণ রাজগির নামে পরিচিতি লাভ করে। অনুরুপভাবে কোচ রাজ্যভুক্ত ৫৩টি (বর্তমান দহগ্রাম আঙ্গোপোতাসহ) এলাকার অধিবাসী মোঘলদের বশ্যতা স্বীকার করে তাদের অধিকৃত অঞ্চলে সম্পৃক্ত থাকার ইচ্ছা পোষণ করে তারাও ঐ রাজ্যভুক্ত থেকে যায়। ১৯৪৭সালে বাংলা-পাঞ্জাবের সীমারেখা টানার পরিকল্পনা করেন লর্ড মাউন্টবেটন। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্রিটিশ আইরজীবী সিরিল রেডক্লিফকে প্রধান করে সে বছর গঠন করা হয় সীমানা নির্বাচন কমিশন। ১৯৪৭সালে ৮জুলাই লন্ডন থেকে ভারতে আসেন রেডক্লিফ। মাত্র ০৬ সপ্তাহের মাথায় ১৩আগষ্ট তিনি সীমানা নির্ধারনের চুড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন। এর মাত্র ৩দিন পরেই ১৬আগষ্ট জনসম্মুখে প্রকাশ পায় সীমানার মানচিত্র। কোন রকম সু-বিবেচনা ছাড়াই কমিশনের সদস্যদের নিস্ক্রিয়তা, জমিদার-নবাব, স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও চা বাগান মালিকদের প্রভাবে এধরনের দ্রুত সিদ্ধান্তের জন্য সীমানারেখা নির্ধারণের জটিলতা উত্তরাধিকার সুত্রে বয়ে বেড়াতে হলো যুগের পর যুগ। ইতিহাসের বিবর্তনে উপমহাদেশের বিভক্তি ঘটে। ভারত ও পাকিস্তানের (পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান) মানচিত্র তৈরি হয়। ১৯৪৭সালে ১৫আগষ্ট ভারত স্বাধীনতা লাভ করলেও কোচবিহার রাজ্য তাতে অর্ন্তভুক্ত হয়নি। কোচবিহার ছিল রাজ্য শাসিত পৃথক রাজ্য। ১৯৪৯ সালের ১২সেপ্টেম্বর কোচবিহারের রাজা জহদ্বিপেন্দ্র নারায়ণ কোচবিহারকে ভারতের রাষ্ট্রের সঙ্গের অন্তর্ভুক্ত করে একটি চুক্তি করেন। ১৯৫০সালের ১জানুয়ারী কোচবিহারকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। দেরীতে যুক্ত হওয়ায় দেখা গেল কোচ রাজার জমিদারির একাংশ রয়ে গেল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে, বিপরীতে পূর্ব পাকিস্তানের কিছু জমিদারদের ভূ-সম্পত্তির কিয়দংশ রয়ে গেলো ভারতের কোচবিহার নামক জেলাতে। এভাবেই জন্ম হলো ছিটমহল নামক বিচিত্র ভূ-খন্ডের।
যা বলতে চেয়েছিলাম, একটি রাষ্ট্রের অংশীদার হয়েও নাগরিকত্ব(গত কাল ৩০জুলাই ২০১৫তে, ৯৪৯জন নিজের ইচ্ছায় ভারতের অধীনে চলে গেছেন ভাগ্য ফেরাতে) পেতে যেখানে ৬৮ বছর লাগলো? স্বাধীকার প্রশ্নকে দুরাতীত মনে হয় এজন্য যে, হয়তো আজ রাত ১২টায় বাজি পুরিয়ে, র‌্যালি করে কিংবা ঘরে ঘরে লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়ে নিজেদের স্ব-অধীনতার বাক্য উচ্চারণ করবে ছিটমহলবাসী। কিন্ত যখন দেখবে আজই এদেশে অতি রাজনৈতিকতার শিকার হয়ে একটি নবজাতক যে কিনা পৃথিবী নামক গ্রহে আসার আগেই মায়ের জরায়ুতেই বুলেটের আঘাতে অপ্রত্যশিত সময়ে ভূমিষ্ট হয়ে ১৭ কোটি মানুষে অভিশাপ দিচ্ছে, সেই দেশের নাগরিক হতে পেরে ৬৮বছর বন্দিত্ব ফেরৎ এই মানুষগুলোর ভাগ্যোন্নয়নে কতোটুকু আর্শীবাদ বয়ে আনবে ৪৪ বছরের পরিনত যুবক বাংলাদেশ? 

তথ্যসুত্র: ব্যবচ্ছেদ এর ৪৫-৪৭পৃষ্ঠা

জরায়ুতেও বুলেট ও ‍দ্বিতীয় ভূ-খন্ডের ‍উত্থান

Rivqy‡ZB _vK‡Z bvg bv Rvbv wkï hLb ey‡j‡U AvNv‡Z nvmcvZv‡ji AvB wm BD †Z ZLb GKwU Avkv RvMvwbqv Lei ïb‡Z †cjvg AvR ivZ 12:01wg. †_‡K evsjv‡`‡ki ØxcvqwbK iv‡R¨ (wQUgn‡ji AvweavwbK A_©) ¯^vaxb mve©‡fŠg ¯^xK…wZi cZvKv Do‡e| Rvbv hvq †lvok kZvãx‡Z †gvNj †mbvcwZ gxiRygjv †KvPwenvi ivR¨ AvµgY K‡iwQ‡jb| G mgq †KvP ivRv †gvNj‡`i ek¨Zv ¯^xKvi K‡i ÒKvi`Ó ivR¨ cwibZ nq| †m mgq  †gvNj AwaK…Z 111wU GjvKvi  Awaevmx †KvP ivRvi ek¨Zv ¯^xKvi K‡i Zvi iv‡R¨i cÖRv wn‡m‡e _vKvi B”Qv cÖKvk K‡i I Zvi ivR¨fz³ nq| ZLb Zv‡`i ejv n‡Zv ivRMxi| ZLb †_‡K H GjvKvi AwaevmxMY ivRwMi bv‡g cwiwPwZ jvf K‡i|

Abyiƒc fv‡e †KvP ivR¨fz³ 53(eZ©gvb `nMÖvg Av‡½vi‡cvZv mn) GjvKvi Awaevmx †gvNj‡`i ek¨Zv ¯^xKvi K‡i Zv‡`i AwaK…Z A‡j m¤ú„³ _vKvi B”Qv †cvlY K‡i ZvivI H ivR¨fz³ †_‡K hvq| 1947mv‡j evsjv-cvÄv‡ei mxgv‡iLv Uvbvi cwiKíbv K‡ib jW© gvD›U‡eUb| Zvi cwiKíbv Abyhvqx weªwUk AvBbRxex wmwij †iWwK¬d‡K cÖavb K‡i †m eQiB MVb Kiv nq mxgvbv wbev©Pb Kwgkb| 1947mv‡ji 8 RyjvB jÛb †_‡K fvi‡Z Av‡mb †iWwK¬d| gvÎ 06mßv‡ni gv_vq 13AvM÷ wZwb mxgvbv wbav©i‡Yi PzovšÍ cÖwZ‡e`b †`b| Gi 03w`b ciB 16 AvM÷ Rbm¤§y‡L cÖKvk cvq mxgvbvi gvbwPÎ| †Kvb iKg my-we‡ePbv QvovB  Kwgk‡bi m`m¨‡`i wbw¯ŒqZv, Rwg`vi beve-¯’vbxq ivRbxwZwe` I Pv evMvb gvwjK‡`i cÖfv‡e Gai‡bi `ªæZ wm܇šÍi Rb¨ mxgv‡iLv wbav©i‡Yi RwUjZv DËivwaKvi my‡Î Avgv‡`‡K e‡q †eov‡Z n‡jv hy‡Mi ci hyM|

BwZnvm weeZ©‡b Dcgnv‡`‡ki wefw³ N‡U| fviZ I cvwK¯Ív‡bi(c~e© I cwðg) gvbwPÎ ˆZwi nq| 1947mv‡j 15 AvM÷ fviZ ¯^vaxbZv jvf Ki‡jI †KvPwenvi ivR¨ Zv‡Z AšÍf©~³ nqwb| †KvPwenvi wQj ivR¨kvwmZ c„_K ivR¨| 1949mv‡ji 12 †m‡Þ¤^i †KvPwenv‡ii ivRv RMØx‡c›`ª bvivqY †KvPwenvi‡K fvi‡Zi iv‡óªi m‡½ AšÍf~³ K‡i GKwU Pzw³ K‡ib| 1950mv‡j 1 Rvbyqvix †KvPwenvi‡K fvi‡Zi cwðge‡½i GKwU †Rjv wn‡m‡e †NvlYv Kiv nq| †`wi‡Z hy³ nIqvq †`Lv †Mj †KvP ivRvi Rwg`vwii GKvsk i‡q †Mj ZrKvjxb c~e© cvwK¯Ív‡b(Avgv‡`i evsjv‡`k)| Avevi wecixZ fv‡e c~e© cvwK¯Ív‡bi wKQz Rwg`vi †`i fzm¤úwËi GKUv Ask i‡q †M‡jv fvi‡Zi ‡KvPwenvi bvgK †Rjv‡Z| Gfv‡eB m„wó n‡jv wQUgnj bvgK wewPÎ wKQz f~-L‡Ûi|


ev¯ÍeZv n‡jv GKwU †`‡ki Askx`vi n‡qI hv‡`i bvMwiKZ¡ †c‡Z 68 eQi jvM‡jv †m †`‡ki ¯^vaxbZv bvgK kãwU eoB ‡e-gvbvb jv‡M G Rb¨ †h- AvR nq‡Zv evwR cywo‡q, i¨vwj K‡i wKsev N‡i N‡i cZvKv Dwo‡q wb‡R‡`i ¯^vaxbZvi ¯^xK…wZi Rvbvb †`‡e H wQUgnj evmx wKš‘ †h †`‡k `yóivRbxwZi wkKvi n‡q GKwU beRvZK †h wKbv c„w_ex bvgK MÖ‡ni Avmvi Av‡MB gv‡qi Rivqy‡ZB A‡¯¿i AvNv‡Z AvnZ n‡q fzwg÷ n‡jv Ges Rxeb g„Z¨yi mwÜÿ‡Y `vwo‡q Avgv‡`i 17‡KvwU gvbyl‡K Awfkvc w`‡”Q, †mB †`‡ki bvMwiK n‡Z †c‡i 68eQi ew›`Z¡ †diZ GB wQUgnj evmxi fv‡M¨vbœq‡bi K‡Zv UzKz f~wgKv ivL‡e Avgv‡`i GB 44 eQ‡ii hyeK evsjv‡`k|                                                  
                                                                                                                    Z_¨ msMÖn: e¨e‡”Q`|

Thursday, July 23, 2015

আমরা বাঙালীরা ক্যাজুয়্যাল বর্ণবাদী !

বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম গত এক বছর ধরে অভাবনীয় সাফল্যের সাথে খেলে নিজেদেরকে বিশ্বের প্রথম সারির একটা দলে পরিণত করেছে। সাফল্যের পথ বেয়ে আসে নানা অবাঞ্চিত জঞ্জাল, আত্মঅহমিকার তোড়ে অনেক সময় সরে যায় মানবিকতার মুখোশ, আর বেরিয়ে আসে আমাদের আসল চরিত্র। বাংলাদেশ বনাম সাউথ আফ্রিকার মধ্যকার প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের মধ্যাহ্ন বিরতিতে কিছু দর্শক ডেল স্টেইনকে মৌখিক অপমান করার পাশাপাশি তার গায়ে মার্বেল ছুড়ে মেরেছে। বিপক্ষের এক জন খেলোয়াড়ের সাথে এমন আচরণ ভব্যতার সব মাপকাঠিই ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু বাংলাদেশি দর্শকেরা এখানেই থেমে যায়নি, তারা ডেল স্টেইনের সংগী একজন "কৃষ্ণাংগ" খেলোয়াড়কে উদ্দেশ্য করে বর্ণবাদী মন্তব্য করেছে, যার মধ্যে আছে N আদ্যাক্ষরের অপমানসূচক শব্দ। দক্ষিণ আফ্রিকা দল এর প্রতিবাদ জানিয়েছে, ম্যাচ রেফারি আরেক বার এমন ঘটনা ঘটলে ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন।
আমাদের বর্ণবাদ শুধু বিদেশীদের উদ্দেশ্যেই তা কিন্তু নয়। আমরা নিজ পরিবারের তুলনামূলক গাঢ় বর্ণের সদস্যটিকে সরাসরি কিংবা নানা রূপকের আশ্রয় নিয়ে অপমান করি। আমাদের মা বাবা সন্তানের গাত্রবর্ণের লজ্জা ঢাকতে “উজ্জ্বল শ্যামলা”’র মত ছদ্মবেশী শব্দের ব্যবহারে বাধ্য হোন। গায়ের রঙের গাঢ়ত্বের জন্য আমাদের সমাজে অনেককে পিছিয়ে পড়তে হয় শিক্ষা, চাকুরী, বিয়ে জীবনের প্রতিটা পর্যায়ে। আমরা নানা জেলার লোকেদের সম্পর্কে একগাঁদা স্টেরিওটাইপ দাঁড় করিয়ে রেখে, তাদের সাথে মেলামেশায় সেটা প্রয়োগ করি। ছোট্ট একটা বদ্বীপে বাস করে এক জেলার লোক অন্য জেলার লোকের সাথে বৈবাহিক সম্পর্কে জড়াতে চাই না, অন্যরা আমাদের মত যথেষ্ট ভালো না বলে।
আমি জানি না অন্যদের অভিজ্ঞতায় কী বলে, কিন্তু নিজ দেশবাসীদের সাথে আমার অভিজ্ঞতা যা হয়েছে, তা থেকে বলতে পারি, আমাদের মাঝে বর্ণবাদ মোটেই বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। কেউ সচেতনে, কেউ অচেতনে বর্ণবাদী আচরণ করে। আমরা অনেকে জানি না যে শব্দেরও রাজনীতি আছে, ইতিহাস আছে। অনেকে আমাদের “ক্যাজুয়াল” বর্ণবাদী মন্তব্যে অন্যে কতটা আঘাত পাবে সেটা চিন্তা করতেই অপারগ। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সূত্রে ভিতরের অন্ধকার যখন বেরিয়েই এসেছে, আমাদের উচিত এ নিয়ে খোলামেলা কথা বলা। আমাদের উচিত নিজেদের অন্ধকারের মোকাবেলা করে নিজেকে ভালোমত চেনা। বর্ণবাদ বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা হওয়া খুবই জরুরী। মানুষকে সচেতন হতে হবে যে গায়ের রঙের উপর নির্ভর করে একটা মানুষ আলাদা হয়ে যায় না। তাদেরকে জানাতে হবে কোন ধরনের আচরণ বর্ণবাদী। জানতে হবে অতীতের বর্ণবাদ কীভাবে মানবসমাজের একটা বড় অংশকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মানুষ হিসাবে প্রাপ্য সব অধিকার বর্জন করে জীবন কাটিয়ে দিতে হয়েছে। প্রাসঙ্গিক জ্ঞান থেকেই আসবে নিজের থেকে আলাদা দেখতে মানুষের প্রতি সহমর্মিতা।
মিডিয়াগুলোর উচিত যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে এই ঘটনার প্রচার করা। ভেতরের পাতায় ছোট করে এ সংবাদ ছাপিয়ে দেশের সংবাদপত্র তাদের দায় মিটিয়ে ফেলতে পারে না। বিসিবির প্রতি দাবী জানাই তারা যেন এ ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করে দর্শকদের জন্য একটা গাইডলাইন তৈরী এবং সেটা প্রয়োগ করে। আন্তর্জাতিক নানা ক্ষেত্রেতো আমাদের ভুগতে হবেই, স্বদেশীদের প্রতিও আমরা দিন দিন আরো নির্দয় হয়ে দেখা দিব। বর্ণবাদ আমাদের দেশে শৈশবে নয়, বরং কৈশোরকাল অতিক্রম করছে। সেটা এখনি দূর করব কিনা এই সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে আমরা ভবিষ্যতের আমাদেরকে মানবতা থেকে কত দূরে রেখে গড়ে তুলব।
হিউমিনিটির ক্র্যাডল আফ্রিকা থেকে নানা সময়ে, নানা পথে মাইগ্রেট করে মানুষ পৌঁছেছে মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ আর অ্যামেরিকাতে। হাজার হাজার বছর স্থায়ী এইসব মাইগ্রেশনে মানুষের নানা গোষ্ঠীকে অভিযোজিত হতে হয়েছে সূর্যের ভিন্ন পরিমাণ আলোর নীচে (আরো সঠিকভাবে বিভিন্ন পরিমাণ অতিবেগুনী রশ্মির উপস্থিতিতে )। আফ্রিকার গনগনে সূর্যের নীচে অভিযোজিত হওয়া মানুষের ত্বকে অতিবেগুনী রশ্মিকে ঠেকানোর জন্য দায়ী মেলানিনের প্রাচুর্য্য, আবার বছরের বড় সময় ধরে বিরল সূর্যের নীচে অভিযোজিত হওয়া ককেশিয়ানদের ত্বকে মেলানিনের স্বল্পতা যেন তারা যথেষ্ট পরিমাণ সূর্যোলোক পেতে পারে। মাঝারি সূর্যের নীচে অভিযোজিত হওয়া মানবগোষ্ঠীর গায়ের ত্বকে মেলানিনের পরিমাণ মাঝারি। মেলানিনের পরিমাণ গায়ের রঙ্গের গাঢ়ত্বের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত। আর তাই আফ্রিকার লোক কৃষ্ণাংগ, ককেসিয়ানরা শ্বেতাংগ। আর এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ইত্যাদি জায়গার লোকেদের গায়ের রঙ “বাদামী” থেকে “হলুদ”। গায়ের রঙ বিবর্তনের লম্বা ইতিহাসে, মানব শরীরের নিরাপত্তায় গড় উঠা অতি বেগুনী রশ্মি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার একটা বাইপ্রোডাক্ট মাত্র। মানুষের অর্জন কিংবা তার অন্তর্নিহিত মনুষত্বের কোন পরিমাপক এটা নয়।

প্রাণিবিদ্যার পুন:রাবিষ্কার

প্রাণিবিদ্যার  পুণ:রাবিষ্কার
আমাদের গ্রহের অন্যান্য প্রানী বিশেষ করে স্তন্যপায়ী থেকে মানুষ একটু আলাদা একটি মাত্র কারনে। এছাড়া অন্য যেকোন প্রানী থেকে তাকে সহজে আলাদা করা যায় না। অন্যান্য সকল প্রাইমেটদের মতোই আমাদের হাত, পা, মুষ্ঠিবদ্ধ করার ক্ষমতা, লোমাবৃত দেহ কাঠামো, ভ্রুণের পরিষ্ফুটন,কাম, প্রেম, সংসার, সন্তান জন্ম, বার্ধক্য, মৃত্যু ইত্যাদি প্রায় কাছাকাছি ভাবে মিলে যায়। কিন্তু একটি জায়গায় বিস্তর ফারাক, তা হলো অন্য সকল স্তন্যপায়ীরা সন্তান জন্মদেয় এবং অপত্য লালন করে থাকে এবং তাদের শিশু বড় হলে স্বাধীন ভাবে নাওয়া- খাওয়া করতে পারে। ঠিক একই ভাবে মানুষের বেলাও তাই ঘটে। কিন্তু সন্তান বড় হলে কেবল মানুষ্য প্রজাতীই তাদের পিতা-মাতাকে তাঁদের বার্ধক্যকালে নিজ সন্তানের মতো লালন পালন করে যা অন্য কোন স্তন্যপায়ী/ প্রাইমেট দের বেলায় দেখা যায় না। অন্য সকল প্রজাতীই তাদের সন্তানদের কাছ থেকে তেমনটি পায় না যা মানুষ্য নামক প্রানী পেয়ে থাকে। বিষয়টি আমার কাছে পুণ:রাবিষ্কারের মতোই লাগলো বলে শেয়ার করলাম!

Wednesday, July 15, 2015

সংশোধনাগার

যে কবিতা রওনা হয়েছিল তোমার পানে
ওখানে আমার কিছু সংশোধনের ছিল

যে কবিতাগুচ্ছ লেখা হয়েছিল তোমায় নিয়ে
সেগুলো পড়া হবেনা কোনদিন নিজেকে দিয়ে
তার একটা সম্পূর্ণ শব্দও যেন কেউ পড়তে না পারে

যেখানে বলার বিষয় কম সেখানেই কথা হয় বেশি
বলার মত লিখলে একটি বাক্যেই রাশি রাশি
কথা ফলাতে পারে
অন্যদিকে বলার মত কথাতো একবাক্যের।
সংশোধন অযোগ্য!

অক্ষরহীন কবিতার নীল শার্ট তুমিই আমাকে পরিয়েছ
তার শব্দগুলো সুগন্ধ হারিয়ে আজ বিবর্ণ হয়ে
তেলাপোকার দখলে অন্যকোন গেরস্থের খাটের
অন্ধকার কোনায়

ছেড়াঁ ত্যানার কুচিগুলো তাই তুলে দিতে ইচ্ছে করে
ময়লাওয়ালার ভ্যানে
সংশোধনের যোগ্য শব্দগুলো যেন না ফিরে আসে
উদ্বাস্তুর কানে

যে কবিতাওয়ালা রওনা হয়েছিল তোমার পানে
ওখানে আমার কিছু সংশয় ছিল


রাত ২:২১, ১৫-০৭-২০১৫খ্রি: কুড়িগ্রাম

Thursday, June 4, 2015

বার বার গাইতে ইচ্ছে করে

ইচ্ছে করে
ইচ্ছে করে, অন্য একটা আকাশ দেখি
একই মাটির উপর অন্য দিক্ দিগন্ত
অন্ন-শস্য অন্য রকম ফুল ফুটন্ত
ইচ্ছে করে, অন্য একটা আকাশ দেখি

অন্য সময় অসুখ এবার ইচ্ছে করে
আমার দেশে, সবার দেশে সবার ঘরে
ঘরে এবং বাইরে সময় অন্য হবে
অন্য রকম দিনগুলো যে আসবে কবে?
ইচ্ছে করে

ইচ্ছে করে, শুনতে আমার অন্য কথা
অন্য রকম শব্দ এবং নীরবতা
ইচ্ছে করে, শুনতে আমার অন্য কথা

অথবা খুব অন্য রকম দিনে রাতে
ইচ্ছে করে অন্য রকম গান শোনাতে
ইচ্ছে করে

ইচ্ছে করে, সবার দু‘হাত ভরে উঠুক
সবার রান্না ঘরে ভাতের গন্ধ ছুটুক
ফুলের চেয়ে ভাতের গন্ধ ইচ্ছে করে
আমার দেশে সবার দেশে সবার ঘরে
ইচ্ছে করে

ফুলগুলোকে তাই বলে কি বাদ দিতে চাই?
শস্য এবং ফুলের জন্য গান গেয়ে যাই
ইচ্ছে করে স্বপ্ন ধরুক অন্য মানে
বেঁচে থাকার অন্য কথায় অন্য গানে
ইচ্ছে করে........................................,লিরিক্সঃ কবীর সুমন